১৭ নভেম্বর ৬ষ্ঠীর মধ্যে দিয়ে মাগুরায় ব্যাপক উত্সাহ উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে ৭০টি মণ্ডপে ঐতিহ্যবাহী কাত্যায়নী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। পূজা চলবে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত। মাগুরা শহরের স্থানীয় লতা কমিউনিটি সেন্টারে বৃহস্পতিবার দুপুরে কাত্যায়নী পূজা মন্দির কমিটি আয়োজিত সংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এতে পূজা মন্দির কমিটির পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ কুমার কুণ্ডু। এ সময় বক্তব্য রাখেন মন্দির কমিটির নেতা কনক কান্তি সাহা, দিলিপ বিশ্বাস, জয়ন্ত কুমার রুদ্র,পার্থ সারথী প্রমুখ।
সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়, জেলার চার উপজেলায় ৭০ টি মণ্ডপে এ পূজা অনুষ্ঠিত হলেও ৫ দিনব্যাপি এ পূজার মূল আকর্ষণ থাকবে মাগুরা পৌরসভা এলাকার ১২ টি মণ্ডপে। পূজা উপলক্ষে ১০দিন ব্যাপি অনুষ্ঠিত মেলায় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে লাখ লাখ দর্শনার্থীর আগমনকে সামনে রেখে সারা মাগুরা শহররের বিভিন্ন মণ্ডপে চলছে নতুন আঙ্গীকে প্রতিমা নির্মাণ, সারা শহর জুড়ে দৃষ্টিনন্দন আলোকসজ্জা, গেইট ও প্যান্ডেল নির্মিত হচ্ছে। পূজা উপলক্ষে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি, র্যাব ও আনসারের সমন্বয়ে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইন-শৃংক্সখলা বাহিনী। এ ছাড়া শহরকে আলোক সজ্জায় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর সহকারি একান্ত সচিব সাইফুজ্জামান শিখর। এর পাশাপাশি সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পূজা উযাপনের লক্ষ্যে সকল শ্রেণী পেশার মানুষের সহযোগিতা কমনা করেন মন্দির কমিটির নেতারা।
সাংবাদিক সম্মেলননে আরো জানানো হয়, ধর্মীয় শাস্ত্রমতে দাপর যুগে শ্রীকৃষ্ণের জন্মের আগে গোপীবালাবৃন্দ যমুনা নদী তীরে শ্রীকৃষ্ণকে ঈশ্বর, বন্ধু, পুত্র হিসাবে আরাধনা করত। তাদের একমাসব্যাপী আরাধনা সে সময় কাত্যায়নী পূজা হিসেবে চিহ্নিত হত। যার সময়কাল ছিল কার্তিক ও অগ্রহায়ন মাস। প্রতিমা স্থাপনের ক্ষেত্রে দূর্গা পূজার আদলেই সবকিছু নির্মিত হত। তবে অতিরিক্ত হিসেবে দেবী দূর্গার কোলে শ্রীকৃষ্ণের একটি মূর্তি স্থাপন করা হত। যার অর্থ দেবী দূর্গার আরাধনার মাধ্যমে কৃষ্ণের সান্নিধ্য পাওয়া। এটিই হচ্ছে মাগুরার কাত্যায়নী পূজার ধর্মীয় যোগসূত্র।
গত কয়েক দশক ধরে দূর্গা পূজার ১ মাস পর জেলায় এ পূজা পালিত হয়ে আসছে। ১৯৫০ সালে শহরতলীর পারনান্দুয়ালীর সতিশ মাঝি এটির সূচনা করেছিলেন। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে যা ব্যাপক বিস্তৃতি পায়। এটা জেলার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য বিশেষ এক উত্সব। মাগুরা জেলায় এ পুজা এতটা জাকজমকপূর্ণভাবে পালিত হয়।